স্পোর্টস ডেস্ক: গণমাধ্যমে এখনও লিখা হয় মহারণ, হাইভোল্টেজ ম্যাচ! কিন্তু বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে কি এখন সত্যিই ‘মহারণ’ বলা যায়? কেউ অমন প্রশ্ন তুলতেই পারেন।
কারণ ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে মানে বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে একদমই পারে না পাকিস্তান। আগের ৭ বারের মোকাবিলায় প্রতিবার জিতেছে ভারত। এবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
এখন বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াই মানেই ভারতের একচেটিয়া সাফল্য। তবে বেশ কিছুদিন এর মধ্যেও ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবরণ। দিনকে দিন সে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হ্রাস পাচ্ছে।
আজ আহমেদাবাদে পাত্তাই পেলো না পাকিস্তান। হারলো ৭ উইকেটে। খেলা না দেখে ৭ উইকেটের হার শুনে কেউ কেউ ভাবতেই পারেন, এ আর এমন কী! ৭ উইকেটের চেয়ে অনেক করুণ পরিণতিও তো আছে। হ্যাঁ, তা আছে।
তবে আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ভারতের কাছে পাকিস্তানের ৭ উইকেটের হারটি সত্যিই বড় পরাজয়। একদমই একতরফা লড়াই। কারণ আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের গুটিয়ে গেছে ১৯১ রানে। ভারতীয়রা সেই রান টপকে গেছে মাত্র ৩ উইকেট খুইয়ে। আর খেলা শেষ হয়েছে প্রায় ২০ ওভার আগে।
লোকেশ রাহুল যখন সোজা ব্যাটে পাকিস্তানের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের মাথার ওপর দিয়ে উইনিং বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিলেন, তখনও খেলার ১১৭ বল বাকি।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, উইকেটের হিসেবে ভারতের কাছে বিশ্বকাপে এটাই পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় পরাজয়। এর আগে ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের সেঞ্চুরিয়ানে ৬ উইকেটের পরাজয়ই ছিল বড়।
বিশ্বকাপে সবসময় ভারত জিতলেও ইতিহাস সাক্ষী, শুরুর দিকে ভারত ও পাকিস্তান লড়াইয়ে মোটামুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। প্রথম তিন লড়াইয়ে ভারত জিতেছিল যথাক্রমে ৪৩ রান (১৯৯২ সালে সিডনিতে), ৩৯ রান (১৯৯৬ সালে ব্যাঙ্গালুরুতে) এবং ৪৭ রানে (১৯৯৯ সালে ম্যানচেস্টারে)।
২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ানে ৬ উইকেটের হারের পর ২০১১ সালে মোহালিতে প্রায় সমানতালে লড়ে ২৯ রানে হার মেনেছিল পাকিস্তানিরা। কিন্তু তারপর যত সময় গড়াচ্ছে, ততই লড়াই একপেশে হচ্ছে।
ভারতের প্রভাব, প্রতিপত্তি বাড়ছে। পাকিস্তান দাঁড়াতেই পারছে না। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ৭৬ রানের পরাজয়ের পর এবারের লড়াইয়ের আগে ২০১৯ সালে ম্যানচেস্টারে সর্বশেষ সাক্ষাতে ভারতীয়রা বেশ অনায়াসে জিতেছিল ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। আজ আবার সহজে হেসেখেলে বাবর আজমের দলকে হারালো রোহিত শর্মার দল।